একদিনে তিস্তার নেমে গেলেও পানি থামেনি হারানোর কান্না৷!!!

মোস্তাফিজুর রহমান লালমনিরহাট জেলাপ্রতিনিধি।। এক দিনেই নেমে গেছে তিস্তার পানি কিন্তুু থামেনি কৃষকের সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার কান্না । গত কাল উজানের ঢল ও ভারতের গজলডোবার সব কয়টি গেট খুলে দেওয়ায় হু হু করে বাংলাদেশের দিকে পানি বৃদ্ধি পাওয়ার পর একরাতেই পানি কমতে শুরু করেন।বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) তা সকাল থেকে ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টার মিটার। যা বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যা (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে।
এর আগে গত (বুধবার ২০অক্টোবর) ভোর থেকে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৬০সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।গত বুধবার(২০ অক্টোবর) সাড়ে১১টার দিকে ভেঙে গেছে তিস্তা ব্যারাজের ফ্লাড বাইপাস বাঁধ সড়কটি। এতে রংপুর-বড়খাতা মহা সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ বিভাগীয় নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদীন ইসলাম তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় পানি কমতে শুরু করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।লালমনিরহাটের ৫ উপজেলার তিস্তার চর এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে কয়েক হাজার হেক্টর আলু,বাদাম,পিয়াজ, ধান ও ভুট্টাক্ষেত সহ মাছের ঘের । পানির তোড়ে ভেঙে গেছে ব্রীজ কালভাট এবং রাস্তাঘাট। ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করায় পরিবারগুলো স্থানীয় বাঁধের রাস্তায় আশ্রায় নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন।
তিস্তা ম্রোতে জেলার প্রায় ৫ শতাধিক পরিবারের ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। পরিবার গুলো উঁচু স্থানে পলিথিন মুড়িয়ে নিঘুম রাত কাটিয়েছেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় তিস্তার পানি কমে গিয়ে দোয়ানী ডালিয়া পয়েন্টে ৫৩ দশমিক ৩০ সেন্টিমিটার সকাল ৯ টায় ওই পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমি।যা বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার নিচে। বতমানে পানি কমছে।
এদিকে, তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাটগ্রামের দহগ্রাম, হাতীবান্ধার গড্ডিমারী, সিঙ্গামারি, সিন্দুর্না, পাটিকাপাড়া, ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারী, শৈইলমারী, নোহালী, চর বৈরাতি,আদিতমারী উপজেলা ও লালমনিরহাট সদর উপজেলার তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে প্রায় ৩০ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্হ হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ সারা দিন রাত নৌকায় করে উচু স্থানে অবস্থান রত অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন এসময় তিনি জানান ,জেলার জন্য চার লক্ষটাকা ও ৫০ মেট্রিকটন খাদ্য সামগ্রী বরাদ্দ হয়েছে খুব দ্রুত বড় পরিবারের মাঝে বিতরণ চলছে প্রয়োজনে আরো দেওয়া হবে সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরকে ক্ষয় ক্ষতি তালিকা করার জন্য বলা হয়েছে ।