নাগেশ্বরীতে বিদ্যালয়ের গাছ বিক্রি-সামনে লীগ পেছনে প্রধান শিক্ষক

মতিউর রহমান(নাগেশ্বরী)কুড়িগ্রাম:কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার নূনখাওয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক
সাহাবর আলী নেতৃত্বে একই ইউনিয়নের ইউনিয়ন আওয়ামী-লীগের ক্রীড়া সম্পাদক কালাম অত্র
ইউনিয়নের নূনখাওয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮টি গাছ কেটে বিক্রি করে।যার মধ্যে রয়েছে কড়ই এবং
ইউক্যালিপটাস।
প্রতিষ্ঠান এর প্রধান শিক্ষক হাবিবুল ইসলামের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার বাবা অসুস্থ্যতার কারনে বাবা কে নিয়ে হাসপাতালে আছি, আমি গাছ কাটা বিষয়ে কিছুই জানি না। তিনি পরক্ষনে জানান যে, এলাকার কিছু ছেলে গাছ কেটে ফুটবল খেলার মাঠ বানায় কিন্তু মুল বিষয় হচ্ছে, গাছগুলো স্কুল মাঠের এক প্রান্তে এখানে গাছ কাটার কোনো প্রশ্নই আসে না।
একই বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের সভাপতি শ্রীঃ ব্রিন চন্দ্র সরকার এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না।
নাগেশ্বরী বনায়ন কর্মকর্তা শাহিন মিয়াকে জানালে তিনি বলেন, আমাকে এ বিষয়ে কোন অবগত করা
হয়নি। তিনি আরও বলেন ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক কাউকে পরোয়া করে না সঠিক ভাবে এর বিচার হওয়া দরকার।
নাগেশ্বরী মধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানালে তিনি বলেন, আমি এই প্রথম আপনাদের কাছে শুনলাম।
আগামিকাল এর ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, যে হোক না কেন এর সঠিক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আনুমানিক ৩০ মিনিট পর ঘটনা স্থলে উল্লেখিত ক্রীড়া সম্পাদক কালাম মিয়া আসেন। তিনি প্রথমে
সব অস্বীকার করেন পরক্ষনে তিনি বলেন, আমি গাছ গুলো কেটেছি। তার কাছে জানতে চাই গাছ গুলি কোথায়,? তিনি স্বীকার করেন যে গাছগুলো নুনখাওয়া নদীর কিনারায় যে ছ,মিল আছে সেখানেই রাখা হয়েছে।
ছ,মিল মালিক রফিকুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার এখানে ১৪টি গাছের
খন্ড রয়েছে।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাবর আলী বলেন, যে আমি খেলার প্রধান অতিথি এবং নূনখাওয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মহদয় সভাপতি এ কথা বলে সাহাবর আলী দাপটের সাথে (সিএনএনওয়ার্ল্ডটুয়েন্টিফোর)কে আরো বলেন,আমি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, আমি গাছ কাটার হুকুম দিয়েছি কিছু লেখার থাকলে আমার নামে লেখেন বিষয়টি আমি দেখবো।
স্থানীয়রা জানান আনুমানিক ১৯/২০-১২-২০২০ তারিখে গাছ গুলো কাটা হয়েছে,কাটার সময় কেউ
দেখে নি। তারা আরও জানান যে ,যারা দলীয় প্রভাব খাটিয়ে রাতের অন্ধকারে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গাছ চুরি করে বিক্রি করে তারা অবশ্যই ভালো মানুষ নয়।তাদের সঠিক বিচার হওয়া প্রয়োজন না হলে এধরনের অপরাধ দিন দিন বেড়েই যাবে।
এ বিষয় নিয়ে অত্র এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেছেন যে,গাছ যারাই বিক্রি
করুক না কেন?এর পেছনে অবশ্যই প্রধান শিক্ষকের হাত আছে তাছাড়া এটা মোটেই সম্ভব নয়।আর এমনিতেও সে ঘাড় তেড়া লোক কাউকে মানেনা যখন যা মন চায় তাই করে সে।