মুজিবনগর-কোলকাতা স্বাধীনতা সড়ক নির্মিত হলে ভারতের সাথে সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে -এলজিআরডি মন্ত্রী

আমিরুল ইসলাম অল্ডাম,মেহেরপুর প্রতিনিধি ঃ স্থানীয় সরকার , পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী (এলজিআরডি ) তাজুল ইসলাম ও জন প্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল আজ বৃহস্পতিবার সকালে হেলিকপ্টার যোগে মেহেরপুরের মুজিবনগরে আসেন।
মেহেরপুরের মুজিবনগর ঐতিহাসিক স্বাধীনতা সড়ক (মজিবনগর-কলকাতা) পরিদর্শনকালে মন্ত্রী মহোদয় বলেন, মুজিবনগর আম্রকানন আমাদের জাতিগতভাবেই একটি স্মৃতির জায়গা।
এখানকার স্মৃতি আমাদের সংরক্ষণ করা দরকার। রাস্তাটি নির্মিত হলে আমাদের দেশের সাথে ভারতের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল এ সড়ক দিয়ে বাংলাদেশের প্রথম সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ ভারত থেকে মুজিবনগওে এসে শপথ গ্রহণ করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে স্বাধীনতা সড়কটি দু’দেশের প্রধানগণ উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
অনতিবিলম্বে স্বাধীনতা সড়কের কাজ শুরু হবে। রাস্তা নির্মিত হলে দুদেশের লোকজনের যাতায়াতের পথ উম্মোচিত হবে এবং ব্যবসা বাণিজ্য সহ সার্বিক উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ হবে।
পরিদর্শন কালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন দোদুল বলেন, প্রধান মন্ত্রীর প্রতিশ্রুিততে মুজিবনগওে এক হাজার কোটি টাকার কাজ হবে ইতোমধ্যেই নকশার কাজ শেষ হয়েছে। রাস্তাটি নির্মিত হলে দেশী বিদেশী পর্যটকরা এসে মুক্তিযুদ্ধের পুরো ইতিহাস দর্শনার্থীদের কাছে তুলে ধরা হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, মেহেরপুর-২ গাংনী আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্ম্দ সাহিদুজ্জামান খোকন, জেলা প্রশাসক ড. মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, জেলা আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী এম এ খালেক, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এ্যাড. ইব্রাহিম শাহীনসহ সরকারী কর্মকর্তাবৃন্দ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ।এর আগে মন্ত্রী মহোদয় মুজিবনগর পৌছালে স্মৃতি সৌধে পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন এলজিআর ডি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী । পরে মুজিবনগর স্মৃতি কমপ্লেক্সে স্বাধীনতা সড়ক নিমার্ণের অগ্রগতি নিয়ে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।