ধর্ষণ মামলায় সাজা-চেয়ারম্যান বরখাস্ত

গাইবান্ধা, প্রতিনিধি:স্কুলছাত্রী এবং গৃহবধূ ধর্ষণের মামলায় গাইবান্ধা জেলার সদরের লক্ষিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদলকে তার পদ থেকে সাময়ীক বরখাস্ত করা হয়েছে।
(১৭ জানুয়ারি) রোববার রাতে গাইবান্ধা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাফিউল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি জানান, মামলার পর গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়ায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে তাকে সাময়ীক বহিষ্কারের চিঠি এসেছে। একই সাথে কেন তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, ১০ দিনের মধ্যে কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে বলেও জানান, রাফিউল আলম।
গ্রেফতার বাদল চেয়ারম্যান ওই ইউনিয়নের মৌজা মালীবাড়ী গ্রামের বাসীন্দা ও লেংগাবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবেও কর্মরত আছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ৩ মার্চ ওই গৃহবধূ নাগরিক সনদ পত্র নিতে লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদে যান। এ সময় চেয়ারম্যান বাদল তাকে নিজ কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন এবং ভিডিও ধারণ করে ভিডিও ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে ৮ মাস ধরে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করে চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বাদল। এঘটনায় ওই গৃহবধূ তার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
এর আগে ২০১৭ সালে নিজ স্কুলের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। এই দুই মামলায় তিনি বিভিন্ন মেয়াদে কারাবন্দী ছিলেন। পরে জামিনে আসেন।
পরে গত বছরের ২৪ নভেম্বর দিবাগত রাতে ওই ইউনিয়নের লেংগাবাজার থেকে ধর্ষণ মামলায় তাকে আবারও আটক করেন করে পুলিশ।