চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন-অর্ধেক ভোটকেন্দ্র ঝুঁকিতে

নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনকে ঘীরে পরিস্থিতি ক্রমশই সংঘাতেরত। এরই মধ্যে বেশিভাগ ভোটকেন্দ্র অধিক ঝুঁকিপূর্ণ বলে হ্নিত করেছে পুলিশ প্রশাসন। ৭২৩টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪১০টি কেন্দ্র এলাকায় কাউন্সিলর প্রার্থীদের আধিপত্য থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে, চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরীর কথা জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার। পাশা-পাশী সব ধরনের সংঘাত এড়াতে নির্বাচনের দিন বিজিবিকে মাঠে রাখার কথা জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
বিভিন্ন শ্রেণীর নেতাদের সমর্থন থাকায় আওয়ামী-লীগের বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীরা এখনো নির্বাচনের মাঠে সরব। এ অবস্থায় বিএনপিকে এড়িয়ে আওয়ামী-লীগ এবং তার বিদ্রোহীরাই এখন মুখোমুখি অবস্থানে। ক্ষমতাসীন দলের কাউন্সিলর প্রার্থীদের মারমুখী অবস্থানের ফলের নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে অনেকটাই ভাবিয়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। সে কারনে বাড়ছে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রেরও সংখ্যা।
সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর জানান, সশস্ত্র পুলিশের সাথে অস্ত্রসহ আনসারও থাকবে। এ ছাড়াও ওয়ার্ডভিত্তিক দুটি মোবাইল টিম এবং প্রতিটি থানায় একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে।
শুধু কেন্দ্র নয়,নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডের মধ্যে অন্তত ১৫টি ওয়ার্ডকেই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে ধরেনিয়েছেন শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা। এসব এলাকায় বর্তমান কাউন্সিলররা দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় ইতোমধ্যে আওয়ামী-লীগ এবং বিদ্রোহী কাউন্সিলর প্রার্থীদের সংঘাতে মারা গেছেন দুজন। যে কারনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যুক্ত কাউন্সিলর প্রার্থীদের নিয়ন্ত্রণের দাবি সুশীল সমাজের।
সনাক সাবেক সভাপতি চট্টগ্রাম প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার জানান, নির্বাচনকে জনসেবা হিসেবে না দেখে বাণিজ্যিকভাবে নিয়ে কাউন্সিলররা বিরাট সংকট তৈরী করতে পারে।
অপরদিকে পুলিশ- র্যাব-আনসার সদস্যদের সমন্বয়ে কেন্দ্রভিত্তিক চার স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তাবলয় গড়ে তোলার পাশা-পাশি নির্বাচনের দিন নির্বাচন কমিশন বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে । নিরাপত্তায় কর্ণফুলী নদীতেও মোতায়েন থাকবে কোস্টগার্ড।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান জানান, কোনো কেন্দ্রকে আমরা হালকাভাবে দেখছি না। নির্বাচনের দিন যাতে কোনো ধরনের সংঘাত না ঘটে সে জন্য বিশেষ নিরাপত্তাও নেওয়া হয়েছে।
এ নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৯ লাখ।বিষয়টি মাথায় রেখে ভোটের দিন ২০ হাজারের বেশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যও মোতায়েনের কথা জানিয়েছেন পুলিশ প্রশাসন।