চলে গেলেন জনপ্রিয় অভিনেতা আবদুল কাদের

নিউজ ডেস্কঃ শনিবার সকাল ৮ টা ২০ মিনিটে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি … রাজুন)। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক কন্যার জনক। এছাড়া তিনি নাতি-নাতনি সহ অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীকে রেখে গেছেন।
আবদুল কাদেরের পুত্রবধূ জাহিদা ইসলাম জামি এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, অভিনেতা সম্প্রতি নিজের অসুস্থতার জন্য চিকিৎসার জন্য ৮ ডিসেম্বর ভারতে গিয়েছিলেন। সেখানে তাকে ক্যান্সার ধরা পড়ে। তিনি ২১ ডিসেম্বর ভারত থেকে দেশে ফিরেছিলেন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তিনি দেশে ফিরেই শীঘ্রই রাজধানীর একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে করোনার পরীক্ষা করা হয়েছিল, ২১ ডিসেম্বর তার রিপোর্ট ইতিবাচক এসেছিল।
উল্লেখ্য যে অভিনেতা আবদুল কাদের ১৯৫১ সালে মুন্সিগঞ্জ জেলার টঙ্গিবাড়ী থানার সোনারং গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। উযধশধাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক শেষ করার পরে তিনি সিংগাইর কলেজ এবং লোহজং কলেজ থেকে পাঠদান শুরু করেন। পরে তিনি ১৯৭৯ সালে জুতার প্রস্তুতকারক বাটাতে যোগ দিয়েছিলেন; তিনি সেখানে ৩৫ বছর ছিল।
তিনি যেসব নাটকে অভিনয় করেছেন তার মধ্যে রয়েছে ‘পেয়ার আওয়াজ পযা ইয়া’, ‘অহনো কৃতাদাস’, ‘তোমারাই, স্পর্ধা’, ‘দুউই বন’, ‘মেরাজ ফকিরের মা’।
টিভিতে প্রায় তিন হাজার নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। তিনি বিটিভির জনপ্রিয় ম্যাগাজিন শো ‘ইত্যাদি’ র নিয়মিত অভিনয়শিল্পী রং
প্রয়াত ঔপন্যাসিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের অনেক জনপ্রিয় নাটকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে কাদের শ্রোতার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে। হুমায়ূন আহমেদের নাটক ‘অন্য কেউ নয়’ নাটকে বদিভাইয়ের চরিত্রে অভিনয় করে তিনি প্রচুর জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন।
২০০৪ সালে আবদুল কাদের ‘রং নাম্বার’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন।
তার দীর্ঘ অভিনয় জীবনের স্বীকৃতি হিসাবে, আবদুল কাদের তেনাশিনাস পদক, মহানগর সাংস্কৃতিক ফোরাম পদক, পাইওনিয়ার কালচারাল গ্রুপ পদক, ম্যাজিশিয়ান পিসি সরকারী পদক, টেলিভিশন ভিউয়ার্স ফোরাম অ্যাওয়ার্ড এবং মহানগর পুরস্কার সহ বেশ কয়েকটি পদক পেয়েছেন।