পঞ্চম শিল্প বিপ্লব মানবতাবাদী: মোস্তাফা জব্বার

Desk Reporter
Desk Reporter
প্রকাশিত: ৮:৫৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২২

পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের জন্য মানুষ ও প্রযুক্তির সমন্বয় প্রয়োজন, তাই এটি মানবিক বলে মন্তব্য করেছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।

শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এফএইচ হলের উন্মুক্ত মঞ্চে এফএইচ হল ডিবেট ক্লাব আয়োজিত ‘১৩তম জাতীয় বিজ্ঞান বিতর্ক উৎসব-২০২২’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বিপ্লব কৃষিভিত্তিক বাংলাদেশকে শিল্প বিপ্লবের বাংলাদেশে পরিণত করেছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণাটি যান্ত্রিক তবে এটি মানবতাবাদী কারণ পঞ্চম শিল্প বিপ্লবের জন্য মানুষ এবং প্রযুক্তির সমন্বয় প্রয়োজন। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশ মানবসম্পদ ও ডিজিটাল প্রযুক্তি নিয়ে পঞ্চম শিল্প বিপ্লব বাস্তবায়ন করবে।

ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিশ্বে বাংলাদেশের মর্যাদা বাড়িয়েছে বলেও মন্তব্য করেন মোস্তাফা জব্বার। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের বিস্ময়কর অগ্রগতি বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধারণার ৮ বছর আগে ২০১৬ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে ইংল্যান্ড, ২০১৪ সালে ভারত এবং ২০১৯ সালে পাকিস্তানসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ডিজিটাল কর্মসূচি ঘোষণা করে।

নতুন প্রজন্মকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষ করে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, প্রযুক্তির ভালো-মন্দ দুটো দিকই আছে। প্রযুক্তি থেকে মুখ ফিরিয়ে না নিয়ে প্রযুক্তির ভালোটা নিতে হবে। প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ প্রযুক্তি দিয়েই মোকাবেলা করতে হবে। ফেসবুক সহ সোশ্যাল মিডিয়া তাদের নিজস্ব সম্প্রদায়ের মান অনুসরণ করে যা নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন কিন্তু অসম্ভব নয়। ফেসবুকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার মাধ্যমে ক্ষতিকর ডেটা অপসারণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে।

ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার অতীতের শত বছরের পশ্চাৎপদতা দূর করে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহীত উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর দেশে তৃতীয় শিল্প বিপ্লব যুগে প্রবেশের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট ট্যাক্স প্রত্যাহার করে কম্পিউটারকে সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে আনার সুযোগ তৈরি করেন তিনি।

বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড.এএসএম মাকসুদ কামাল ও অধ্যাপক ড.শামসুর রহমানসহ বিভক্ত ক্লাবের নেতৃবৃন্দ।