প্রসঙ্গ: যত দোষ নন্দ ঘোষ

রানা চৌধুরী : যে সব রিকশা ও ভ্যান আগে পায়ে প্যাডেল দিয়ে চলত কিন্তু বর্তমানে ইঞ্জিন লাগিয়ে চালানো হচ্ছে, সেগুলো বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। একি সাথে ইজি বাইকও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে, যা পর্যায়ক্রমে বন্ধ করে দেওয়া হবে, মোটর সাইকেলেও দুজনের বেশি চলতে পারবে না এবং চালক-হেল্পারদের নিয়োগপত্র দিতে হবে।
চলতি মাসের ২০ জুন ২০২১ রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে সড়ক পরিবহন বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর সভা শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেই সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন। সভায় যে কয়েকটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। তা শুরুতেই বলা হয়েছে। মন্ত্রীবলেছেন, ‘রিকশার সামনের চাকায় ব্রেক আছে কিন্তু পেছনের চাকায় ব্রেক নেই। আর এগুলোতে ইঞ্জিন লাগিয়ে চালানোর ফলে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে তাই সড়ক দুর্ঘটনা রোধেই নাকি দেশব্যপী ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর সে কারনে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে আদেশও জারি করা হবে।সরকার কে ওয়েলকাম।
ধরে নিলাম এটা সরকারের শুভবুদ্ধি,তবে এ বুদ্ধির আর্ভিাব এতো দেড়িতে কেন? আর এ সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন হলে এই নিষিদ্ধ গাড়ী গুলোর কি হবে? বেকার হয়ে যাওয়া শ্রমিকদের কর্মসংস্থান কোথায় হবে? পা-প্যাডেল রিক্সাগুলো যখন ব্যাটারি চালিত রিক্সায় রূপান্তরিত শুরু হয় তখন সরকারের কত্তা বাবুরা কোথায় ছিলেন? চালক- হেল্পারদের নিয়োগ পত্র অবশ্যই প্রয়োজন তবে এতো দেড়িতে কেন? এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হলে এসব খেটে খাওয়া মানুষের যেিআর্থিক ক্ষতি হবে তা পুশিয়েদিবে কে এবং কিভাবে? প্রশ্ন দেশবাসীর কাছে
মন্ত্রী বলেছেন, ‘পেছনের চাকায় কোনো ব্রেক নেই কিংবা ব্রেকের ব্যবস্থা থাকলেও অপ্রতুল, সেগুলো যখন ব্রেক করে প্যাসেঞ্জারসহ গাড়ি উল্টে যায়। নছিমন, করিমন, ভটভটির মতো যানবাহনের সঠিক ব্যবস্থা করতে পারেনি সরকার । গ্রাম-গ্রামান্তরে গেলে দেখতে সুন্দর রাস্তার দেখা মেলে ।
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনা খুব বেড়েছে বলে আমাদের কাছে রিপোর্ট নেই। দুর্ঘটনা হচ্ছে। দুর্ঘটনা ঘটার অনেক কারণ আছে সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান, মসিউর রহমান রাঙ্গা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দিন, আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন ‘নিরাপদ সড়ক চাই’-এর চেয়ারম্যান অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ব্যাটারি চালিত গাড়ীগুলো নির্দৃষ্ট জায়গা ছেড়ে মহাসড়কে চলে এসেছে যার কারনে সড়ক দুর্ঘটনা গটছে। আবার বলা হচ্ছে দূর্ঘটনা যে খুব বেশী হচ্ছে এমন রিপের্টও সরকারের হাতে নেই।
এখন প্রযুক্তির সময়,তাইতো জীবনকে সহজলভ্য করে তুলতে প্রতি নিয়তই জীবনের বিচরন ক্ষেত্রে প্রতি মূহুর্তেই যোগ হচ্ছে নতুন নতুন উদ্বাবনী উৎকর্সের অংশ বিশেষ। দেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে ,তাই গ্রামীন কাঁচা মেটো পথ হচ্ছে পাকা আর প্রশস্ত করন ,সড়ক উন্নীত হয়েছে মহাসড়কে আর মহাসড়ক উন্নীত হয়েছে আরও অনেক বেশী মহাউন্নীত মহাসড়কে ।তাই সড়ক আছে গাড়ী চলবে, গাড়ী চললে সড়ক দূর্ঘটনা ঘটবে এটাই স্বাভাবিক।প্রশ্ন থেকে যায় তাহলে সড়ক দূর্ঘটনার কি হবে? প্রথমে যেতে হবে গোড়ায়।দূর্ঘটনা কেন হচ্ছে? কি কারনে হচ্ছে? কোন কোন এলাকা বেশী দূর্ঘটনা কবলীত? এবং কোন শ্রেণীর যানবাহন দ্বারা সড়ক দূর্ঘটনা বেশী ঘটছে? এগুলো চিহ্নিত করে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনিত হতে হবে যে,কি ধরনের আইন বা নিয়ম কানুন মেনে যানবাহন চলাচল করলে যানবাহনও ঠিকঠাক চলবে আবার সড়ক দূর্ঘটনাও নিয়ন্ত্রনে থাকবে।
এখন প্রশ্নের উত্তর জনসাধারনের কাছে আর সমাধান সরকারের হাতে।
(আসুন মহামারি কোভিড-১৯ নোভেল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবাই এগিয়ে আশি,সুস্থ্য থাকি,সুস্থ্য রাখি জনসচেতনতা বৃদ্ধি করি ,আর শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখি।